এসইও এর ইংরেজি রূপ হল SEO যার পূর্ণাঙ্গ রূপ হল Search Engine Optimization। এসইও এর মধ্যমে ওয়েবসাইটকে যেভাবে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক(rank) করাতে পারবেন ঠিক তেমনি ওয়েবসাইট বা ডোমেইন এর মূল্য নির্ধারণেও এর ভূমিকা অপরিসীম।
অনেকেই আছেন যারা ডোমেইন কিনে ফেলে রাখেন এবং বছরের পর বছর ভাল দামের আসায়, ডোমেইন রিনিও(renew) করে চলেন । কিন্তু এই রিনিও এর সময়সীমার মধ্যে চাইলে ডোমেইন এর দাম কয়েক গুন বাড়িয়ে নেওয়া যায় এসইও এর মাধ্যমে। যে ডোমেইন-এর যত বেশি ব্যাকলিংক(backlink) থাকবে তার দাম তত বেশি। এসইও-এর মাধ্যমে এই ব্যাকলিংক তৈরি করা হয়।
যেভাবে প্লান(plan) সাজাতে পারেনঃ
ধাপ ১ঃ একটা ডোমেইন কেনার পর তার ক্যাটাগরি(category)বা নিশ(niche) অনুযায়ী কিওয়ার্ড(keyword) বাছাই করবেন।
ধাপ ২ঃ এবার একটা হোস্টিং(hosting) নিয়ে নিন। কেননা ডোমেইনটি হোস্টিং এর সাথে যুক্ত না থাকলে ডোমেইনটির ওয়েব পেজ(web page) থাকবেনা কোন। এতে করে কোনো লাভ হবেনা এসইও করে ।কেননা ওয়েব সাইট লাইভ (live) না থাকলে এসইও কাজ করে না।
ধাপ ৩ঃ একটা ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং কয়েকটি আর্টিকেল(article) লিখে রাখুন। অবশ্যই আর্টিকেলগুলো ডোমেইন এর বিষয়বস্তুর সাথে মিল থাকতে হবে।
ধাপ ৪ঃ এবার এসইও করতে নেমে পড়ুন আপনার নিশ অনুযায়ী। এসইও করা খুবই সহজ। আপনি নিজে দৈনিক কিছু সময় ব্যয় করে এই কাজটি করে নিতে পারেন।
এভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করে ফেলুন আর একটা টার্গেট(Target) রাখুন। টার্গেট পূরণ হয়ে গেলে ব্যাকলিংক এর রিপোর্ট সহ ক্লায়েন্ট (client) খুঁজুন। দেখবেন খুব সহজে ক্লায়েন্ট মিলে গেছে আর ডোমেইনটি কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে পারছেন। অনেক ক্ষেত্রে এমন ডোমেইন যেটা বিক্রি করতে পারছেন না বা আপনার কাছে মনে হচ্ছে এটা কেনা ঠিক হয়নি কিংবা ভুলে স্পেলিং ভুল ডোমেইনও কিনে ফেলেছেন! সেগুলোতে এসইও করে দেখুন, দেখবেন সেই ডোমেইনটি কত টাকায় বিক্রি করতে পারবেন!
টিপস(tips)ঃ প্রতিটি ডোমেইন এর জন্য আলাদা আলাদা হোস্টিং না নিয়ে অনেক গুলো এডঅন (add-on) ডোমেইন যুক্ত করা যায় এমন হোস্টিং নিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে নেওয়ার আগে যাদের থেকে নিবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিলেও তারা হয়ত এডঅন ডোমেইন বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে আপনাকে।
0 Comments