কিভাবে ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন করবেন ?

জ্ঞান চর্চা

আমরা অনেকেই চিন্তা করতে থাকি আমাদের একটা ওয়েবসাইট (website) হবে। আর এই ওয়বসাইট বানাতে ডোমেইন এনং হোস্টিং-এর প্রয়োজনীয়তা অস্বিকার্য । কিন্তু, বুঝে উঠতে পারিনা কিভাবে সেই ওয়েবসাইটের ডোমেনই(Domain) এবং হোস্টিং (Hosting) নির্ধারণ করব। ডোমাইন নির্ধারণ একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । কেননা ডোমেইন-এর নামেই কোন ওয়েবসাইট পরিচিতি পায় । তাই প্রথমেই ডোমেইন নির্ধারণে ভুল হয়ে গেলে সেটা ভোগান্তিতে ফেলাতে পারে। আর ওয়েবসাইট হোস্ট(host) করার সময় ভাল হস্টিং না নিলে ওয়েবসাইট-এর স্লো লোডিং (slow loading) , ডাউন (down) খাওয়া, সিকিউরিটি ইস্যু (security issue) এর মত সমস্যায় পড়ে যাবেন যা ওয়েবসাইটের পারফর্মেন্স (performance) খারাপ করে দিতে পারে।

ডোমেইন কেমন হবে?

১/ ডোমেইন নাম আপনার কম্পানি (company)/ নিস (niche) / টপিক (topic) এর সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।

২/ ডোমেইন নাম যতটা সম্ভব ছোট হলে ভাল হয়। ছোট বলতে ডোমেইন নামে ক্যারেক্টার (character) / বর্ণ (letter) যত কম রাখা যায় তত ভাল।

৩/ ডোমেইন নাম এক/ দুই শব্দ (word)-এ হলে ভাল। তবে SEO (Search Engine Optimization) নির্ভর ডোমেইন নিতে চাইলে, সেক্ষেত্রে দুইয়ের অধিক শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪/ ডোমেইন নাম অর্থপূর্ণ ও সহজ হওয়া উচিত। ৫/ ডোমেইন নাম এর এক্সটেনশন (extension) জেনেরিক (generic) টপ লেভেল(Top Level- TD) হলে ভাল। তবে, বিষয় ভিত্তিক বিবেচনায় ক্যাটাগরি(category) অনুযায়ীও নিতে পারেন।

হোস্টিং কেমন হবে?

আপনার ওয়েবসাইট(website)-এর উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে হোস্টিং নেওয়া উচিত। হোস্টিং কেমন হতে পারে দেখে নেওয়া যাক।

১/ স্টোরেজ(storage)-এর সল্পতা যেন না পড়ে এমনভাবে নেওয়া উচিত।

২/ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর কেমন হবে, সেটার উপর নির্ভর করে ব্যান্ডউইথ (bandwidth) নির্বাচন করা উচিত। কখনই প্রয়োজনের কমে না নেওয়া ভাল।

৩/ আপনি যার থেকে হোস্টিং নিচ্ছেন সেটা ওভার সেলিং(over selling) কিনা দেখে ও জেনে নিন। ওভার সেলিং হোস্টিং-এ লোড(load) বেশি পড়ে, ফলে ওয়েবসাইট ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে যেতে পারে।

৪/ হোস্টিং এর প্রসেসর(processor), প্রসেসর স্পীড(processor speed), র‍্যাম(RAM) এর ধারণক্ষমতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া বাঞ্চনিয়।

৫/ হোস্টিং এর ব্যাকাপ সার্ভিস (backup service) আছে কিনা সে বিষয়ে জেনে নিন। যদিও নিজের ডেটা(data)-এর সংরক্ষণ নিজে করা শ্রেয়।

৫/ VPS/VM হলে DDOS প্রটেকশন নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভাল। এই ছিল আজকের টুক-টাক আলোচনা। কিছু বিষয় আমি বাদ দিয়ে যেতে পারি। কোন বিষটি বাদ পড়েছে আপনার জানা থাকলে, অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। কোন কিছু ভুল হলে শুধরে দিবেন আশা করি।

Follow Us

Read More

Show/Hide Comments (0 comments)
L

0 Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Love To Read

Pin It on Pinterest

Share This