একটি পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট বানাতে প্রাথমিক পর্যায়ে কি কি লাগে এবং কেন?

জ্ঞান চর্চা

অনেকেই আছেন যারা আইটি(IT) সম্পর্কে কম ধারনা রাখেন। আর তারা যখন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট (সেটা হতে পারে নিজের কোম্পানি এর পোর্টফোলিও হিসেবে কিংবা ব্যবসার কাজে) চান, তখন প্রায়ই এমন হয় যে বুঝতে পারেন না কিভাবে শুরু করতে হবে বা কীভাবে কি করতে হবে। তাদের জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি। আশা করি ভাল লাগবে সকলের।

একটি পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট (website) বানাতে প্রাথমিক পর্যায়ে দুটি জিনিসের দরকার পড়ে।

১/ ডোমেইন (Domain)

২/ হোস্টিং/সার্ভার (Hosting/Server)

১/ ডোমেইনঃ ডোমেইন মূলত একটি নাম। যে নামে একটা ওয়েবসাইট পরিচিতি পাবে।

২/ হোস্টিংঃ স্টোরেজ(storage) যেখানে ওয়েবসাইট রেখে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। হোস্টিংকে সার্ভারও বলা হয় কিছু ক্ষেত্রে। আমরা মূলত বড় বড় সার্ভারেই হোস্ট করে থাকি আমাদের ওয়েবসাইট।

ডোমেইন কেন প্রয়োজন?

ওয়েবসাইট বানাতে চান এরকম নতুন যারা আছেন তাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে , ডোমেইন ছাড়া কি ওয়েবসাইট হবে না? কিংবা হোস্টিং-এর কেন প্র‍য়োজন?  প্রথম প্রশ্নে আসি। “হ্যা” ডোমেইন ছাড়া ওয়েবসাইট হয়। আর, সেটা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করে সবাইকে এক্সেস ও দিতে পারবেন।

কিন্তু! আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতিটা কিভাবে পাবে? উত্তরটা একেবারে সহজ। হোস্টিং এ আপনাকে একটা আইপি(IP; Internet Protocol) ধরিয়ে দিবে। আইপি মূলত অনেকগুলো সংখ্যার সমষ্টি যা একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা নির্ধারণ করে। তো আপনার ডোমেইন না থাকলে এই আইপি দিয়েই ওয়েবসাইটের এক্সেস নিতে হবে । কিন্তু এরকম কয়জন আছে যারা আপনার ওয়েবসাইট মনে রাখার জন্য গুটি কয়েক সংখ্যা মুখস্ত করবে! তাই, আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে সুন্দরভাবে সকলের নিকট উপস্থাপনের জন্য ডোমেইন এর বিকল্প খুঁজে পাবেন না।

হোস্টিং কেন প্রয়োজন?

আগেই বলেছি হোস্টিং একটি স্টোরেজ। আর এই স্টোরেজে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইনের পর সেখানে জমা রাখা হয়। এখন বলতে পারেন আপনার কম্পিউটারেও স্টোরেজ আছে, মোবাইলেও স্টোরেজ আছে। সেই স্টোরেজ ব্যবহার না করে কেন আলাদা করে স্টোরেজ জরুরী?

আমরা যে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত আছি এটি মূলত একটি নেটওয়ার্ক। নেটওয়ার্ক হল অনেকগুলো ডিভাইসকে নিজেদের মধ্যে যুক্ত করে ডেটা আদান প্রদানের মাধ্যম করে দেওয়া। আর পৃথিবিতে সব থেকে বড় নেটওয়ার্কিং সিস্টেম হল ইন্টারনেট(Internet)।

তো এই সিস্টেমে ২৪ ঘন্টাই যুক্ত থেকে সচল থাকতে পারবে এমন কোনো ডিভাইস-ই পারে সবাইকে এই বিশাল বড় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য কাওকে এক্সেস দিতে। আমাদের ব্যক্তিগত যে ডিভাইসগুলো আছে, এগুলো আমরা চাইলেও সপ্তাহে ৭ দিন এবং দিনে ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত রেখে একটা ডেডিকেটেড আইপি(Dedicated IP) নিয়ে সবাইকে এক্সেস দিতে পারবোনা। কিংবা ভাল মানের স্পিড এবং ব্যান্ডউইথ সমৃদ্ধ ইন্টারনেট সংযোগও মাত্র একটা ওয়েবসাইটের জন্য নিলেও সেটা বেস খরচ সাপেক্ষ(বড় বড় প্রতিষ্ঠান ছাড়া এরকম পদক্ষেপ ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেখা যায়না)। কেননা এতে করে “খাজনা থেকে বাজনা বেশি” এমন কিছু হয়ে যাবে। কেননা মাত্র একটি ওয়েবসাইটের জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, ভালমানের ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) নিশ্চিত করা দুরূহ।

তাই শুধু মাত্র ওয়েবসাইটের জন্যই আলাদা ডেটা সেন্টার বানানো হয়ে থাকে যেখানে এক সাথে কয়েক লক্ষ্য ওয়েবসাইট হোস্ট (host) করা যায়। এতে করে আমরা কম খরচে একটি সহজ ও সুন্দর সমাধান পেয়ে যাই। বিদ্রঃ ডোমেইন-হোস্টিং সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান শেয়ার করার জন্য পোস্টটি করা। যারা এ বিষয়ে জানতে চায় তাদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

Follow Us

Read More

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

Show/Hide Comments (0 comments)
L

0 Comments

Trackbacks/Pingbacks

  1. কিভাবে ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন করবেন ? - […] (website) হবে। আর এই ওয়বসাইট বানাতে ডোমেইন এনং হোস্টিং-এর প্রয়োজনীয়তা অস্বিকার্য । কিন্তু, বুঝে উঠতে পারিনা […]
  2. ওয়েবসাইট বানানোর পরবর্তী পরিকল্পনা কী হতে পারে? - […] বিজনেস(online business) সম্প্রসারণের জন্য যেমন ডোমেইন হোস্টিং-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইট […]

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Love To Read

Pin It on Pinterest

Share This